শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক, অনুপ্রাণন ও অনুপ্রাণন প্রকাশন ১৪ জন লেখককে সম্মাননা দিয়েছে। পাশাপাশি অনুপ্রাণন নতুন পাঁচটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব করে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানী জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অনুপ্রাণন প্রকাশন।
প্রধান অতিথি নাট্যকার ইসহাক খান বলেন, “আমরা এমন সমাজে বাস করি, যেখানে সাহিত্য চর্চা করা খুব দুরূহ ব্যাপার। যেখানে আমাদের জাতির পিতা নিয়ে বিতর্ক, জাতীয় সংগীত, জাতীয় কবি নিয়ে বিতর্ক করা হচ্ছে।”
ইসহাক খান আরও বলেন, “অনুপ্রাণন একটি আলোচিত আলোকিত সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্যে ও সাহিত্য নিয়ে লেখকরা এগিয়ে যাবেন।”
অনুপ্রাণন প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী আবু এম ইউসুফ বলেন, “আমরা লেখকদের সম্মাননার আয়োজন করেছি। এই সম্মাননা শুধু লেখকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। এটা কোনো দল বা গোষ্ঠী নয়।”
আবু এম ইউসুফ আরও বলেন, “আমরা এই পর্যন্ত ২৫০টি বই প্রকাশ করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের তরুণদের সাহিত্যে আগ্রহ করে তোলা।”
তিনি বলেন, “আজ ১৪ জন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। যাদের সবার অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে বই প্রকাশিত পেয়েছে। পাশাপাশি আমাদের পাঁচটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব করা হয়।”
প্রকাশনা উৎসবে অনুষ্ঠিত হবে ১. সরদার ফারুকের কবিতাগ্রন্থ নিষাদের ডালপালা; ২. ফেরদৌস নাহারের কবিতাগ্রন্থ বাজে অন্তহীন দ্রিমি; ৩. মােজাম্মেল হক নিয়ােগীর উপন্যাস পুষ্পকথা; ৪. মনি হায়দারের গল্পগ্রন্থ একটি খুনের প্রস্তুতি বৈঠক ও ৫. কামরুল ইসলামের প্রবন্ধগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ।
সম্মাননা পাওয়া ১৪ লেখক হলেন কথাসাহিত্যিক হামিম কামাল, কবি ও কথাসাহিত্যিক অঞ্জন আচার্য, কবি ও প্রাবন্ধিক কবির য়াহমদ, প্রাবন্ধিক স্বকৃত নোমান, কবি ও কথাসাহিত্যিক আশরাফ জুয়েল, কথাসাহিত্যিক শহীদ ইকবাল, কবি কুহক মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার, প্রাবন্ধিক কামরুল ইসলাম, কবি কামরুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কবি মারুফ রায়হান, কবি সরদার ফারুক, কথাসাহিত্যিক মঞ্জু সরকার।
রূপশ্রী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যকার লেখক ইসহাক খান, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. নীরু শামসুন নাহার, কবি আসাদ চৌধুরীসহ অনেক সাহিত্যিক ও লেখকেরা।